মালদা:  স্বামীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে আপত্তির জের। মালদার হবিবপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-র পেটে লাথি মারার অভিযোগ। নষ্ট ভ্রূণ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধূ।
গ্রামেরই ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে সমর হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিরুপমার। বছর খানেক আগে বিয়ে হয় তাঁদের। কয়েক মাস সব ঠিকঠাকই ছিল। বাপের বাড়ির দাবি, নিরুপমা গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই স্বামীর রূপ বদলাতে শুরু করে!
স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন তিনি। নিরুপমাকে গর্ভপাতের জন্যও চাপ দেওয়া হত! আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বার জেঠু উকিল বিশ্বাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অত্যাচার। রাস্তায় ফেলে মেরেছিল রবিবার। হাসপাতালে ভর্তি হয়। ফিরে এলে আবার মার।
শনিবার সকালেও দম্পতির একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বধূ। অভিযোগ, এরপরই ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-র পেটে সজোরে লাথি মারেন সমর। একবার নয়, বারবার! যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লুটিয়ে পড়েন স্ত্রী!
মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ! চিকিৎসকরা জানান, উপর্যুপুরী লাথির আঘাতে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে!
কিন্তু কেন এই অত্যাচার নেমে এল নিরুপমার ওপর? আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বার মা সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, গ্রামেরই একটা মেয়ের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ছিল। সেটা নিয়ে মেয়ে আমায় জানিয়েছিল। আগেই ওকে অপারেশন করতে বলেছিল। সেকথা না শোনায় এভাবে মেরেছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বছর উনিশের এই তরুণী। যত রক্ত দেওয়া হচ্ছে, বেরিয়ে যাচ্ছে তারও বেশি! শুধু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কই নয়। পণের জন্য এখনও শ্বশুরবাড়িতে নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে হয় এখনকার নিরুপমাদের!
দু’দিন আগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক বধূকেও শ্বশুরবাড়িতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। প্রাণে বাঁচতে, রাতে ৪০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ইলামবাজারে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।
কাটোয়ায় ঝলসানো শরীর নিয়ে ক’দিন আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন এক বধূ। অভিযোগ কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় অমানুষিক নির্যাতন চালানো হত। খাবার চাইলে মিলত গরম লোহার ছ্যাঁকা! অ্যাসিডে পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’হাত!
এবার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি! ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত স্বামী।