কলকাতা: একমাত্র রাষ্ট্রপতি শাসন হলে তবেই পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ঠিক একথাই বললেন বিজেপির বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তাঁর অভিযোগ, এখানকার পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারের মতো আচরণ করে চলেছে। বলেন, ‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’
একান্ত সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ জানান, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে হলে এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘খুন-জখমের রাজনীতির মধ্যেই বিজেপি এগোচ্ছে। নীতিগতভাবে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিরুদ্ধে। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সবকিছুই সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, গতকালই আলিপুরদুয়ারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা। কনভয় লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। দিলীপ ঘোষের গাড়ির ক্ষতি না হলেও কনভয়ের দুটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।
প্রথমে মিছিল জয়গাঁর জিএসটি মোড়ে পৌঁছোলে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক।
এরপর ঝর্না বস্তি ও শুনশুনি বাজারে দিলীপ ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ঘটনার পিছনে রয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ জানান, আসন্ন নির্বাচনে হার অবশ্যম্ভাবী বুঝতে পেরেই এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল ও তার সঙ্গীরা। তবে, এসব কৌশল ধোপে টিকবে না। মানুষে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলেও দাবিব করেন দিলীপ।
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে পায়ের তলা থেকে মাটি সরেছে তৃণমূলের। মোর্চার সঙ্গে তৃণমূল নতুন জোট করেছে। ‘মোর্চাকে টাকা দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করানো হচ্ছে।’
বিজেপি যে কাউকে ভয় করে না, তা তিনি মনে করিয়ে দেন। বলেন, ‘জোট বেঁধে বিজেপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি যে ভয় পায় না, বারবার তা প্রমাণ করেছে।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, রাজ্যে যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে, তা গতকালের কনভয়ে হামলার ঘটনায় প্রমাণিত।
তিনি যোগ করেন, ‘বিজেপির লড়াইয়ে সাধারণ মানুষও যুক্ত হয়েছেন। মানুষকে নিয়েই একুশের নির্বাচনে পরিবর্তন।’
যদিও, বিজেপির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, দল এধরনের হামলায় বিশ্বাস করে না। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী।