বাম শরিকরা সিপিএমকে জানিয়ে দিয়েছিল, কংগ্রেসের হাত ধরা চলবে না। তাদের আপত্তিও ধোঁপে টিকল না সিপিএম বিধায়ক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিলে যোগ দেওয়ায়।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সঙ্গে বিধানসভা ভোটে আসন রফা, ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বোঝাপড়া বহাল রাখার প্রশ্নে সিপিএমের অন্দরে মতভেদ কাটেনি। বাম শরিকরা কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে নারাজ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ইস্যুতে কংগ্রেসের তরফে তাদের মিছিলে সামিল হতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত তাতে সাড়া না দিয়ে মিছিলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে। কিন্তু আজ সবাইকে চমকে দিয়ে তারপরও কংগ্রেসের মিছিলে যোগ দেন তন্ময়বাবু। বলেন, রাজ্যের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে এসেছি। যে ইস্যুতে কংগ্রেসের এই মিছিল, তাকে সমর্থন করি।
কিন্তু তাঁর আচরণে কি পার্টির সিদ্ধান্ত অমান্য করা হচ্ছে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মানুষের রায়, জনমতকে অসম্মান করার অধিকার কারও নেই। দু মাস আগে আমরা একসঙ্গে লড়ে ২ কোটি ১৩ লক্ষ ভোট পেয়েছি। কংগ্রেস, সিপিএমের ভোট আলাদা করে দেখা যাবে না। মানুষের মতকে খারিজ করার ধৃষ্টতা আমার নেই। কারও তা থাকা উচিত নয় বলেও মনে করি।