কলকাতা:কবে বিজেপিতে যোগ দেবেন মুকুল রায়? মুকুলের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট করে দিলেন রাহুল সিংহ। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক আজ বলেছেন, মুকুলের জয়েন করা নিয়ে পাকাপাকি কিছু হয়নি। তবে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। আমাদের মতামত কেন্দ্র নিয়েছে।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুকুল এলে গেরুয়া শিবির যে বাড়তি অক্সিজেন পাবে, রাহুলের কথাতেই তা স্পষ্ট। মুকুল জয়েন করলে ক্ষতি কিছু নেই, লাভই হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যদিও মুকুলকে নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার রাজ্য নেতৃত্বের উপরেই ছেড়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিজেপি নেতা গতকাল বলেন, মুকুল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। রাজ্য সংগঠনই সিদ্ধান্ত নেবে। পরামর্শ চাইলে আমরা দেব।

তবে ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোর্টে বল ঠেলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মুকুল বিজেপিতে জয়েন করবে, রাজ্য নেতৃত্বকে কিছু বলেনি।

কিন্তু তা নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা। বিজেপি নেতৃত্ব প্রক্রিয়া শুরুর কথা বললেও, কবে তা পরিণতি পায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

তবে মুকুলের বিজেপিতে সম্ভাব্য যোগদানের বিষয়টিকে তাঁরা যে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না, ফের তা স্পষ্ট করে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন কটাক্ষ করেন, হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল!

একই সুরে মুকুলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ফিরহাদ হাকিমও। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা থেকে একটু জল তুলে নিলে, কিছু যায় আসে না। তৃণমূল এখন পবিত্র গঙ্গার মতো। মমতা মাথায় হাত রাখলেই নেতা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন যেভাবে তৃণমূলের সংগঠন সামলেছেন মুকুল, পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর সেই সাংগঠনিক দক্ষতাকেই পুঁজি করতে চায় বিজেপি। বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সেই ইঙ্গিত দিয়ে গতকাল বলেন, মুকুল বুথ স্তরে কাজ করেছেন।

তৃণমূলে ‘নম্বর টু’ থাকাকালীন, মুকুলকে অনেকেই বলতেন ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’। ২০১১ সালের পর থেকে মূলত মুকুলের হাত ধরেই বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে ঢুকেছেন বহু নেতা কর্মী। তালিকায় যেমন বিধায়ক রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ নানা স্তরের জনপ্রতিনিধি। যদিও এখন তৃণমূল বলছে, মুকুল কোনও ফ্যাক্টরই নয়। তবে পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুকুলকে দলে নিলে, সাংগঠনিক দিক থেকে বাড়তি অক্সিজেন পেতে পারে গেরুয়া শিবির।