পুরুলিয়া: কী কাজ করতে হবে, কত দিনের মধ্যে করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল। অভিযোগ, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মাঝ পথেই বৈঠক ছাড়লেন। বলে গেলেন, স্যরি, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, কোনও কাজ হয়নি। সেই জন্য আমি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।
বুধবার ছিল পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসনিক বৈঠক। বিকেল সোয়া ৫টায় বৈঠক শুরু হয়। পৌনে ৬টায় বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই দফতর ধরে ধরে কাজের হিসেব চান মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যায়. অধিকাংশ দফতরের কাজই প্রত্যাশামতো হয়নি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওভাবেই কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন তিনি।

ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি এই ধরনের বৈঠক করেছেন তিনি। কিন্তু মাঝপথ থেকে বেরিয়ে আসা এই প্রথম। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথীর মতো সামাজিক প্রকল্পগুলোর কাজও ঠিকঠাকভাবে করতে পারেনি পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
৩ তারিখ থেকে জেলাসফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ার আগে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সভাও করেন সেখানে। বলেন, কথা কম কাজ বেশি করতে হবে। বুঝিয়ে দেন, উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও আপোস নয়।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে কার্যত রাজ্যের প্রশাসনিক মহলকে এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন উন্নয়নই তাঁর পাখির চোখ।