হংসরাজ সিংহ ও সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: রঘুনাথপুরে টোটোয় করে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মাইকে কাটমানির বিরুদ্ধে প্রচার। শাসক-নেতার ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে তরজা। কাটমানির নেপথ্যে দলেরই একাংশ, অভিযোগ তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতির। দলে স্বচ্ছতা আছে, অভিযোগ উড়িয়ে মন্তব্য তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।  


কাটমানি নেওয়া চলবে না বলে মাইকে প্রচার। টোটোয় করে কাটমানির বিরুদ্ধে প্রচারে শাসক নেতা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল! প্রকাশ্যে এসেছে দলীয় কোন্দল। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 


সোমবার রঘুনাথপুরে টোটোয় করে প্রচারে বের হন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অমল মুখোপাধ্যায়। এলাকায় এলাকায় ঘুরে কাটমানির বিরুদ্ধে প্রচার করেন তিনি। কাটমানির নেপথ্যে দলের একাংশ যুক্ত আছে বলেও অভিযোগ করেন এই তৃণমূল নেতা। 


পুরুলিয়া রঘুনাথপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি  অমল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। আমাদের লোকও যুক্ত আছে। মানুষকে সজাগ করতেই এই উদ্যোগ। যদিও ওয়ার্ড সভাপতির এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। 


তৃণমূল কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা মুখপাত্র নব্যেন্দু মাহালি বলছেন, প্রকাশ্যে কেন মাইকিং করা হল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতেই প্রচার করা হয়েছে। দলের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে। দল সেই মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো প্রকাশ্যে এই ধরনের কথা বলেছেন।


পুরুলিয়ার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা জানিয়েছেন, তৃণমূল কাটমানির দল। কাটমানি তৃণমূলের রক্তে ঢুকে গিয়েছে। যেভাবে ক্যান্সার হলে তা ঠিক হয় না তেমননি কাটমানি থেকে তৃণমূলকে আলাদা করা সম্ভব নয়। প্রচার করে কাটমানি বন্ধ করা যাবে না। তৃণমূল যে কাটমানি নেয় এই প্রচার থেকে সেটা প্রমাণিত।


রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু ছিল কাটমানি। ভোটের পরও সেই কাটমানি বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের শাসক দলের।