সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা নেতাকে গুলি করার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়। হামলার নেপথ্যে বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও, আক্রান্তের পরিবার রাজনৈতিক যোগের কথা অস্বীকার করেছে। এই নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বছরখানেক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়লেন পুরুলিয়ার সেই দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত নেতার দাবি, শনিবার রাতে এক ব্যক্তি তাঁর পথ আটকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এরপরই এক মোটরবাইক চালক এসে আততায়ীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পুরুলিয়া জেলা আদালতের কাছে শ্যুটআউটের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা ছেলে হাতে প্লাস্টিক ছিল, প্লাস্টিকের ভিতর কিছু ছিল, বুঝতে পারল আমি, এত জোরে আওয়াজ হল, আমার সন্দেহ আছে, বলব না। মাস চারেক আগেও নিজের বাড়িতে হামলার মুখে পড়েন এই শাসক নেতা।“ আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বন্দুক নিয়ে হামলা হয়, গুলি বেরোইনি, আমরা চাইছি অপরাধী ধরা পড়ুক, ও যতক্ষণ না বাড়ি ফেরে ততক্ষণ আতঙ্কে থাকি, পুলিশ দেখুক এর পিছনে রাজনীতি না ব্যবসায়িক কারণ আছে।”
পুরুলিয়া পুরসভার প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। বছর খানেক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ওই নেতা। শ্যুটআউটের ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “বিরোধী দল ডিস্টার্ব করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ওরা করতে পারে, দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।“ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি এত নিচে নামেনি যে গুলি করে মারতে হবে। আমরা ওদের রাজনৈতিকভাবে মেরে দিয়েছি।“