হংসরাজ সিংহ, রঘুনাথপুর (পুরুলিয়া): গভীর রাতে পারিবারিক অশান্তির জের। আর তার জেরেই দাদার হাতে খুন হল ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথপুর থানার প্রতাপপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শ্যামলাল মুর্মু (৩১)। শুক্রবার রাতে দাদা ছোটলাল মুর্মুর সঙ্গে পারিবারিক বচসা বাঁধে। অভিযোগ সেই সময় দাদা ছোটলালের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভাই শ্যামলাল। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ছোটলালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ঘটনার কথা স্বীকার করেছে ছোটলাল। তাঁকে শনিবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মৃতের দেহ এদিনই ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন খুন? কী নিয়ে বচসা? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে মোটা টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। গতকাল সন্ধেয় তাপস সিংহ (৪৫) নামে ওই ব্যবসায়ীকে ধুলাগড়ের কাছে ছ’ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ তাকে রাস্তায় রাসায়নিক স্প্রে করে খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাওড়া সালকিয়ার বাসিন্দা তাপস সিংহ (৪৫) একটি টেলারিং দোকান চালাতেন। এর পাশাপাশি তিনি জমির বেচাকেনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। গতকাল সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন একটি দেড় বিঘা জমির বেচাকেনায় কমিশনের টাকা আনতে। তাঁর স্ত্রী পম্পা সিংহ জানানস বাস থেকে নেমে তিনি রানিহাটি মোড়ে নামার পর জমির মালিকের গাড়িতে করে আমতার দিকে রওনা হন। এরপর জমি রেজিস্ট্রি করার পর কমিশনের দু'লক্ষ টাকা হাতে পান এবং স্ত্রীকে ফোনে সব জানান। পরে বাসে চেপে বাড়ির দিকে আসছিলেন। ফোনে স্ত্রীকে জানান, কয়েকজন লোক বাইকে চেপে তাঁকে অনুসরণ করছে। এতে তিনি ভয় পেয়ে যান। ধুলাগড়ের মোড়ের কাছে ছ নম্বর জাতীয় সড়কে তিনি বাস থেকে নেমে ফের স্ত্রীকে ফোন করেন। তারপর থেকে আর তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ একজন পুলিশ কর্মী তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে জানান যে, তাপসবাবুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।