কলকাতা: কী বলবেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক লাইভে? শিবির বদলের কথা কি? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। লাইভ বার্তার শুরুতে সরাসরি রাজনৈতিক কথা না বললেও, ঠারেঠোরে তিনি নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই 'আমার নেত্রী' বলে উল্লেখ করলেন রাজীব।  তিনি বললেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের কর্মীদের সম্মানের কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'যখন দেখা যায় কর্মীদের সম্মান দেওয়া হয় না তখন কিছু বললে অন্যায়?'


লাইভের শুরুতে রাজীব বলেন, '২১ নতুন বছর। অতিমারীতে অনেককে হারিয়েছি। অনেকের রোজগার চলে গেছে।২১ যেন আপনাদের জীবনে খুব শুভ হয়। ঈশ্বরের নতুন আশীর্বাদ নিয়ে আসে। এই দিনটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই টিকা নিয়ে কোভিডের ভয় দূর হোক। '

স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করে তিনি বলেন, '' এই যুবসমাজ একজনকে চাইছে, যে পথ দেখাতে পারবে। খারাপ লাগে যুব ভাইবোনেরা চাকরি পেয়ে পেয়ে পাচ্ছে না। কিন্তু লক্ষ্য যদি দেখানো যায়, তাহলে অনেকে সফল হয়। অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে, অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তখন দুঃখ হয়। তাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে কোচিং সেন্টার চালু করেছি''

এরপরই রাজীবের গলায় কিছুটা অভিমানী বার্তা। তিনি বলেন, 'আমি কোনওদিন মানুষকে ঠকাবো না। আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কোনওদিনও মানুষের পাশ থেকে সরে যায়নি। দলনেত্রী যে আদর্শ দেখিয়েছে, সেটাকে সামনে রেখে কাজ করেছি। কোথাও কোনও বাধা এসেছে, জানিয়েছি, তখন কিছু মানুষ তাকে ভুল বুঝিয়ে অন্যপথে চালনার চেষ্টা করছে। আমি যখন কিছু বলছি সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ভাল কাজ বাধা দিচ্ছে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। কেউ যখন অন্যভাবে নিয়ে বাকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাকে বলা হচ্ছে না। তাহলে কি যেটুকু বলা হবে সেটুকুই করব, নিজের কোনও স্বাধীনতা থাকবে না?'

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি কোনওদিন মানুষকে ঠকাবো না। আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কোনওদিনও মানুষের পাশ থেকে সরে যায়নি। দলনেত্রী যে আদর্শ দেখিয়েছে, সেটাকে সামনে রেখে কাজ করেছি।'

ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বনমন্ত্রী বলেন, 'কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত করিনি। রাজীবের কোনও পদের মোহ নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। '