সল্টলেক: রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা সল্টলেকে। আজ সকালে সল্টলেকের ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের সামনে থেকে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিজেপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। মিছিল শুরু হওয়ার আগে তা আটকে দেয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এর জেরে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। অন্যদিকে, নিউটাউনে রামমন্দির থেকে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে মিছিল বের করে বিজেপি। ছিলেন কামদুনির মৌসুমী কয়াল। এই মিছিলে গদা হাতে সমর্থকদের মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। এরপর কলকাতার মানিকতলায় বিজেপির রামনবমীর মিছিলে অংশ নেন মুকুল রায়।


রামনবমী উপলক্ষ্যে পুরুলিয়া শহরে সকাল থেকে অস্ত্র নিয়ে একাধিক মিছিল বার করেছে বজরং দল। মিছিলে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে নাবালকদেরও। দুপুর দুটোয় শহরের গোশালা মোড় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে রামনবমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে।

হুগলির চুঁচুড়ার হেমন্ত বসু কলোনিতে রামনবমীতে পুজো ঘিরে হাতাহাতি হল তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। আজ সকালে স্থানীয় রাম মন্দিরে অস্ত্রপুজো করতে যান বিজেপি সমর্থকরা। সেইসময় তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল মালাকার দলীয় সমর্থকদের নিয়ে তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আজ দুপুরে চুঁচুড়ায় রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিংহের।

বীরভূমের সিউড়ির কড়িধ্যায় রামনবমীর মিছিল বার করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। গতবছর রামনবমীতে এখান থেকেই শুরু হয়েছিল অস্ত্রমিছিল। তবে এবছর প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে অস্ত্রমিছিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

অন্যদিকে, রামপুরহাট হাইস্কুলের মাঠ থেকে তৃণমূলের নেতৃত্বে বার হয় রামনবমীর শোভাযাত্রা। ভাটশালা মোড়ে রামের পুজো করেন রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।



পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রামনবমী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বিশাল মিছিল। আজ সকালে রূপনারায়ণের ধার থেকে শুরু হয় মিছিল। তমলুক শহর পরিক্রমা করে এই মিছিল শেষ হবে মানিকতলায়। মিছিলে অংশ নিয়েছেন বিজেপির জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতারা।

তবে রামনবমীর আগের রাতে উত্তেজনা খবর পাওয়া গেল বীরভূমের নলহাটিতে। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্রমিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশসূত্রে খবর, আজ অস্ত্রমিছিল করা যাবে না বলে স্থানীয় মৌচাক মোড়ে প্রচার চালাচ্ছিল নলহাটি থানা। অভিযোগ, সেইসময় স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা প্রচারে বাধা দেন। জোর করে প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছন রামপুরহাটের এসডিপিও। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন চারজন।

রামনবমী উপলক্ষ্যে মিছিল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও। আজ সকালে দুর্গাপুরের মেন গেট কাদা রোড অঞ্চলে স্থানীয় হনুমান মন্দিরের উদ্যোগে রামনবমী উপলক্ষ্যে মহিলাদের লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। বার হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।