রামপুরহাট:  বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা। চিকিত্সককে ও নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগ। নার্সদের ঘর ভাঙচুর।


বিনা চিকিত্সায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল। চিকিত্সককে ও নিরাপত্তারক্ষীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। নার্সদের ঘর ভাঙচুর।

গোটা ঘটনা ঘটে রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে। যদিও, তাঁর সাফাই ছোট ছোট ছেলেরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকাল থেকে। এদিন সকালে বাড়ির সামনে ডাম্পারের ধাক্কায় জখম হন রামপুরহাট পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা তাঁকে তৎক্ষণাৎ রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছুটোছুটি করেও কোনও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। এর মাঝেই আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিত্সক ও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বেধড়ক মারধর করে রোগীর প্রতিবেশীরা।
ভাঙচুর করা হয় নার্সদের ঘর।

যদিও, জরুরি বিভাগের চিকিত্সকের দাবি, তিনি ওই জখম ব্যক্তিকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করার পরই আত্মীয়রা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন।

হাসপাতালের সুপারেরও দাবি, তিনি কোনও গাফিলতির অভিযোগ পাননি। উল্টে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

এদিন হাসপাতালে ভাঙচুরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারি। যদিও, তাঁর সাফাই, ছোট ছোট ছেলেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বেশি কিছু নাকি ভাঙচুর করা হয়নি।
এদিন পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, রামপুরহাট থানা থেকে পুলিশ বাহিনী পাঠাতে হয় হাসপাতালে। তাঁরাই গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।