ভাঙড় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের কাজ শুরু হবে বলে আন্দোলনকারীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রেজ্জাক মোল্লা। শনিবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাঙড়ে শান্তিমিছিল পা মেলায় তৃণমূলের সব গোষ্ঠী। সেখানেই এই ঘোষণা করেন রেজ্জাক। পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্দোলনকারীদের তরফে জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী বলেছেন, কেন্দ্র রাজ্য, যে-ই আসুক না কেন, রক্ত দিয়ে রুখব।
পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় মিছিল ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। মুড়ি মুড়কির মতো পড়ে বোমা, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি-বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর নির্দেশে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে আজ ভাঙড়ে কাশীপুর থেকে অনন্তপুর পর্যন্ত একসঙ্গে শান্তিমিছিল করেন রেজ্জাক মোল্লা-আরাবুল ইসলাম-কাইজার আহমেদরা। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে আরাবুল দাবি করেন, আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দল যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী কাজ করব। তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার দাবি, উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে বহিরাগতদের এনে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে ভাঙড়ে।
এই প্রেক্ষাপটেই ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা হুঁশিয়ারি দেন, পঞ্চায়েত ভোটর আগেই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড হবে। ওসব রেড স্টার, ইয়েলো স্টার কেউ আটকাতে পারবে না। আমাদের বাহিনীই যথেষ্ট।
পাল্টা জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তীর অভিযোগ, শান্তিমিছিলের নামে তৃণমূলের পেশীশক্তির প্রদর্শন হয়ে গেল। রাজ্য কেন্দ্র যেই আসুক না কেন, 'শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এই পাওয়ার গ্রিড আটকানো'র কথা বলেন তিনি।

এদিকে, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় ৪ জানুয়ারি কলকাতায় জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির যে সমাবেশ করার কথা ছিল, তা বদলে ভাঙড়েই সেই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে তৃণমূলের মিছিলের পরেও উত্তেজনার আবহ রয়েই গেল।