মালদা: বিহারগামী যোগবাণী এক্সপ্রেসে ডাকাতির ঘটনা ঘিরে মালদা স্টেশনে ধুন্ধুমার। চলন্ত ট্রেনে লুঠপাটের পর ২ জন পালালেও, যাত্রীদের হাতে ধরা পড়ে যায় এক দুষ্কৃতী। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, টিকিট পরীক্ষকের সাহায্যে ট্রেনে ওঠে দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয় মালদা স্টেশনে। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্ল্যাটফর্মেই যাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে আরপিএফ।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, রামপুরহাট থেকে জনা তিনেক দুষ্কৃতী যাত্রী সেজে ট্রেনে ওঠে। স্টেশন ছাড়াতেই স্বমূর্তি ধারণ করে তারা। যাত্রীদের অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা, গয়না-সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুঠ করা হয়। চলন্ত ট্রেনে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে তাণ্ডব। পরের স্টেশন আসতেই চম্পট দেয় ২ দুষ্কৃতী। ধরা পড়ে একজন।

যাত্রীদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকের হাত না থাকলে, এমন ঘটনা কিছুতেই ঘটত না!

শনিবার ভোরে ট্রেন মালদা স্টেশন পৌঁছতেই যাত্রীরা অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে আরপিএফ-এর কাছে যান। অভিযোগ, বারবার, অনুরোধ সত্বেও আরপিএফ তাঁদের কোনও সাহায্য করেনি। অভিযুক্ত যুবককে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এই নিয়ে যাত্রী ও আরপিএফ-এর মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে আরপিএফ। কয়েকজন যাত্রীর কলার ধরে টানাটানি, এমনকি চড়ও মারতে দেখা যায়।

ঘটনার জেরে প্রায় ২ ঘণ্টা মালদা স্টেশনে আটকে থাকে যোগবাণী এক্সপ্রেস। শেষপর্যন্ত স্টেশন ম্যানেজার ও জিআরপি’র মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।