কলকাতা: গোয়ায় গত ৩০ অক্টোবর সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সমঝোতার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবার পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে এবার সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, বিজেপি-তৃণমূলের ডিএনএ এক। তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শাখা বাড়িয়েছে আরএসএস।
এ কথা বলে অধীর রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুললেন। যদিও অধীরের অভিযোগ অসত্য বলে খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন,দেশে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতেই পারে আরএসএস। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কিছু করণীয় নেই।
সম্প্রতি গোয়া সফরের সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমরা ভোট বিভাজনে বিশ্বাস করি না। আমরা কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) মতো নই। এই দুই দল নিজেদের সঙ্গে আপোস করে। তৃণমূল কংগ্রেস তা করে না। গোয়ার সঙ্গে বাংলার অনেকক্ষেত্রে মিল আছে। তৃণমূল গোয়াকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।"
মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে চলে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস যেভাবে কমছে, সেভাবে বাড়ছে বিজেপি। তিনি আরও বলেছিলেন, এ রাজ্যে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেজন্য কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট কীভাবে সম্ভব।
এর আগে মমতার সমালোচনার জবাবে অধীর বলেছিলেন, যে দল বরাবর তাঁর পাশে ছিল, সেই দলকেই আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীর বলেন, এখন মমতা বিরোধী ঐক্যের কথা বলছেন। মমতার উত্তর দেওয়া উচিত, অতীতে বিজেপির সঙ্গে কেন তিনি জোট করেছিলেন, কেন এনডিএ সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মমতা যেদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, ওই সময় গোয়া সফরে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীও। মমতা বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেস ততটা সিরিয়াস নয়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি শক্তিশালী। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে গিয়েছে।