দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা: ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যেই থানা! তা সত্ত্বেও উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে প্রৌঢার উপর যে নির্যাতন ও অত্যাচার হয়েছে, তা শুনে সবারই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে! এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃত নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, ঘটনার ভয়াবহতা জেনেও, যোগাযোগই করেননি তদন্তকারী অফিসার! ধর্ষণের মামলা রুজু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রৌঢ়ার নিকটাত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, মা বলে গিয়েছে, এতজন দোষী। ৩-৪ জন ছিল। মা বলেছে শুধু একজনকে চিনতে পেরেছ। তাকেই শুধু গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতার করেনি। তাকে জেরা করে সঙ্গীদের হদিশ নেয়নি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতে চায়নি। পুলিশই উদ্যোগী হয়ে অভিযোগ দায়ের করায়। হাসপাতালে গিয়ে ৩ জন চিকিৎসকের সামনে এক মহিলা অফিসার নির্যাতিতার জবানবন্দি নেন। নির্যাতিতা বলেন, একজন অত্যাচার চালিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে খুনের চেষ্টা, গুরুতর আঘাত-সহ একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়। এবার খুনের ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
যদিও নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে পুলিশের। মৃতার মেয়ের দাবি, যাকে গ্রেফতার করা হল, সে তো বহাল তবিয়তে আছে। ঘুষ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরের পক্ষ থেকে অবশ্য নিরপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন, সন্দেশখালি ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
এই পরিস্থিতিতে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রৌঢ়ার পরিবারের আরও অভিযোগ, পুলিশ সময়মতো নথি না পাঠানোয়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার সময় হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। প্রৌঢ়ার মৃত্যুর পরেও যা অব্যাহত ছিল।
সোমবার সকাল ৯ টা ৫০-এ মৃত্যু হলেও, সেদিন ময়নাতদন্ত করা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে দেহ আনা হয় এনআরএস হাসপাতালের মর্গে। সেখানেই ময়না তদন্ত হয়। তখন অবশ্য কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা!