উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গতকাল গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
গত ১২ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে গৃহসম্পর্ক অভিযান চলাকালীন পিটিয়ে খুন করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে। সেই হালিশহরই ফের সরগরম হয়ে উঠল রাজনৈতিক অশান্তির জেরে। হালিশহরের বিবেকানন্দপল্লিতে বিজেপির বীজপুর ৩ নম্বর মণ্ডলের মিডিয়া সেলের কর্মী অরিন্দম দে-র বাড়ি লক্ষ্য করে দু’দফায় চালানো হল গুলি।
রাত ১২টা নাগাদ প্রথমে বাড়ির গ্রিল লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তার কিছু পরে ফের গুলি চালানো হয় দরজা লক্ষ্য করে। বাড়ির কারও আঘাত না লাগলেও ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির নিজেদের গন্ডগোলেই এই ঘটনা ঘটেছে। হালিশহর বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে এই কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর জেলার ৩৩ বিধানসবা আসনের মধ্যে ২১টিতে এগিয়ে তৃণমূল। ১২টিতে এগিয়ে বিজেপি।
রাজনৈতিক এই সমীকরণকে সামনে রেখেই এবার উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির জোর টক্করের সম্ভাবনা। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই গন্ডগোলের ঘটনাও বাড়ছে।
এর আগে হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের সময়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। এলাকায় তৈরি হয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। যা নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েনও হয়েছিল।