শান্তনু নস্কর ও হিন্দোল দে, ভাঙড় : ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মীর বাড়ির বাগান থেকে বোমা উদ্ধার ঘিরে তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে অশান্তি পাকানোর জন্য বোমা মজুত করা হয়। আইএসএফের পাল্টা দাবি, দলীয় কর্মীকে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমা উদ্ধারের পর থেকে খোঁজ মেলেনি আইএসএফ কর্মী ভোদো মোল্লার।
ফের সংবাদ শিরোনামে ভাঙড়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের শাকশহরে আইএসএফ কর্মী ভোদো মোল্লার বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগভর্তি বোমা। ব্যাগ থেকে মিলেছে অন্তত ১৫টি বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার দুপুরে হানা দেয় পুলিশ। মাটি খুঁড়তেই মেলে বোমা। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে ভোটের আগে থেকে বোমা মজুত করে আইএসএফ। পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছে আইএসএফ।
ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেছেন, 'ভোটের পর প্রার্থীর বাড়ি থেকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়, ওর সাগরেদের বাড়ি থেকে বস্তা বস্তা বোমা উদ্ধার হয়, এর থেকে প্রমাণিত হয় প্রচুর অস্ত্র সাপ্লাই দেয় আব্বাস।' পাল্টা আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, 'ভোটের পর থেকে আমরাই একচেটিয়া মার খাচ্ছি, সুপরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত চলছে।'
গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বারবার রাজনৈতিক হিংসার কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে ভাঙড়। একাধিকবার তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা জড়িয়ে পড়েছেন সংঘর্ষে। একাধিকবার দুই দলের রাজনৈতিক সংঘর্ষ যথেষ্ট হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছিল। দুই দলেরই একাধিক কর্মী-সমর্থক একাধিকবার আহতও হয়েছেন যে কারণ। যদিও পরিস্থিতি এখনও সেভাবে শান্ত হওয়ায় কোনও লক্ষ্মণ নেই।
বাম ও কংগ্রেস বিধানসভা ভোটে কোনও আসন না পেলেও গত বিধানসভা ভোটে তাদের জোটপ্রার্থী ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) ভাঙড় আসনটি জিতে নেয়। অপরদিকে, রাজ্যে প্রবল জনমত সঙ্গী করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা তৃণমূল কংগ্রেস দল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাকি ৩২ টি বিধানসভায় জেতে।