জয়দীপ হালদার, বকখালি: বঙ্গোপসাগরে বকখালির রক্তেশ্বরী চরের কাছে ট্রলারডুবি। উদ্ধার করা হয়েছে ২ জনকে। এখনও নিখোঁজ ১০ মৎস্যজীবী। তাঁদের সন্ধানে জল ও আকাশপথে তল্লাশি শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। উৎকণ্ঠায় সকল পরিবার।


৬ দিন আগে ১২ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দেয় এফবি হৈমবতী। মাছ ধরে ঘরে ফেরার কথা ছিল বুধবারই। বদলে, সাত সকালে খবর এল ট্রলার ডুবির। অপেক্ষা আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারগুলির। 


মত্স্যজীবীদের সংগঠন সূত্রে খবর, রবিবার এফবি হৈমবতী নামে একটি ট্রলারে করে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ১২ জন মৎস্যজীবী। এদিন তাঁদের ফেরার কথা ছিল।


কিন্তু বুধবার ভোরে বকখালির রক্তেশ্বরীর চরের কাছে যুবে যায় ট্রলারটি। ২ মৎস্যজীবীকে অন্য একটি ট্রলার উদ্ধার করলেও, খোঁজ নেই ১০ জনের।


সুন্দরবন ফিসারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ট্রলার উল্টে যায় চরের কাছে। দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১০ জনের খোঁজ নেই।


আশঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার। ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। এক নিখোঁজ মৎস্যজীবীর আত্মীয় কাবেরী মণ্ডল বললেন, আমরা বাড়িতে কাজ করছিলাম। ভাইয়ের আসার কথা ছিল। হঠাৎ ফোন ট্রলার উল্টে গেছে একবার বলছে এটাতে ছিল না, অন্য ট্রলারে। আমরা অপেক্ষা করছি।


নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে জলপথ ও আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। কমান্ডিং অফিসার অভিজিৎ  দাশগুপ্ত বলেন, আমরা সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছি। জলপথে আমাদের বোট রয়েছে। আকাশপথ দানিয়ার এয়ার ক্র্যাফটে নজরদারি চালাচ্ছি। নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


এর আগে, গতমাসের ১৮ তারিখ, সুন্দরবনের কলস দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবি হয়। কলস দ্বীপে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় ট্রলারটি। তবে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় প্রাণরক্ষা হয় ১২ জন মৎস্যজীবীর।


এর আগে ১২ জুন, হলদি নদীতে ডুবে যায় একটি ট্রলার। ১০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, মৃত্যু হয় ৪ জন মৎস্যজীবীর।