দার্জিলিং: ইটের পাল্টা পাটকেল! আন্দোলনের নামে মোর্চার জঙ্গিপনায় যখন নতুন করে অশান্ত পাহাড়। তখন বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন জিটিএ-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই নবান্ন থেকে দার্জিলিংয়ে পা রাখল স্পেশাল অডিট টিম।


নবান্ন সূত্রের খবর, স্পেশাল অডিট টিমে রয়েছেন ৬ সদস্য। নেতৃত্বে অর্থ দফতরের অডিট ও অ্যাকাউন্টস বিভাগের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত মজুমদার। মঙ্গলবারই মিরিকের জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, জিটিএ সরকারের কাছ থেকে যে টাকা পেয়েছে, তার বিশেষ অডিট হবে। আইন আইনের পথে চলবে। আমি অর্থ দফতরকে বলেছি। চেয়ারম্যানকে দেখিয়ে বলছে, চেয়ারম্যানও ছাড় পাবে না। কেউ ছাড়া পাবে না। এরপর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি পাহাড়ে মোর্চার জঙ্গি আন্দোলন। বিমল গুরুংদের যে কোনও মতেই রেয়াত করা হবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সময় পদক্ষেপের।

নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জিটিএ-কে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ১৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। গত তিনটি অর্থবর্ষে এই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, তা দেখবে অডিট টিম। তারপর দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে জমা পড়বে অডিট রিপোর্ট। জিটিএ-র এই অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনবে সরকার।

নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কোনও প্রকল্পেরই ইউ সি বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি জিটিএ। অর্থাৎ, কোনও প্রকল্প শেষের পর যে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা, জিটিএ তা জমা দেয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগও খতিয়ে দেখবে স্পেশাল অডিট টিম। কিন্তু গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন জিটিএ কি সহযোগিতা করবে? যদিও অর্থ দফতরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, অডিট টিমে যাঁরা রয়েছে, তাঁরা অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। ঠিক তথ্য বের করে নেবেন।