ঘোষণা আগেই করেছিলেন। এবার কাজও শুরু করে দিলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আশ্বাসের ২৮ দিনের মাথায় নোবেল চুরির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার নেতৃত্বে, কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার, আইজি সিআইডি টু জাভেদ শামিম, সিআইডি’র এডিজি রাজেশ কুমার। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশ ও সিআইডি যৌথভাবে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির তদন্তে সিবিআই যে তথ্য পেয়েছিল, তা দ্রুত পেতে চাইছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত প্রত্যাশিতভাবেই তাঁর ঘনিষ্ঠ অফিসার রাজীব কুমারের উপর নোবেল চুরির কিনারার দায়িত্ব দিয়েছেন। সিবিআই-এর হাতে চলে যাওয়ার পরও, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রানাঘাটে বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনার কিনারা করেছিলেন রাজীব কুমারই। সূত্রের দাবি, নোবেল চুরি নিয়ে রাজীব কুমারের হাতে বেশ কিছু তথ্যও রয়েছে। যা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সব মিলিয়ে কবিগুরুর নোবেল চুরির এক দশক পর নিস্তরঙ্গ তদন্ত প্রক্রিয়ায় ফের যে একবার ঢেউ উঠতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।