ডায়মন্ডহারবার: ডায়মন্ডহারবারে চোর সন্দেহে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে খুন। গুরুতর আহত হওয়ার পরেও, মুচলেকা লিখিয়ে তবে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ। নাম জড়াল তৃণমূল পঞ্চায়ত সদস্যের। একজন গ্রেফতার হলেও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত।
দু’চোখে স্বপ্ন ছিল সোনালি ভবিষ্যতের! কিন্তু, সেই স্বপ্নে আচমকাই ইতি! চোর সন্দেহে, নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল এক কলেজ ছাত্রকে! এমনকী অভিযোগ, মৃতপ্রায় অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যও দিতে হয়েছে মুচলেকা! ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের দিকে!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা কৌশিক পুরকায়স্থ। সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ডায়মণ্ডহারবারে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। ওই দিনই এলাকায় একটি চুরি হয়।
রাতের দিকে কৌশিক বাড়ি থেকে বেরোলে, তাঁকেই চোর সন্দেহে ঘিরে ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন। অভিযোগ, টেনেহিঁচড়ে ওই কলেজ ছাত্রকে স্থানীয় একটি ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে সংজ্ঞা হারান কৌশিক।
নৃশংসতার শেষ এখানেই নয়! পরিবারের দাবি, মারধরের খবর পেয়ে তাঁরা যখন ক্লাবে যান, দেখেন, মৃতপ্রায় কৌশিক মেঝেতে পড়ে রয়েছে! অভিযোগ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে পাল্টা দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য! শেষমেশ মুচলেকা দিয়ে রেহাই মেলে!
বহু লড়াইয়ের পর কৌশিককে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষরক্ষা হয়নি! এসএসকেএমে মৃত্যু হয় তাঁর। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূলের সাফাই, যেই জড়িত থাকুক, কড়া শাস্তি হওয়া উচিত! এই মামলায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও, অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁকে গ্রেফতারের সাহস কি পুলিশ দেখাবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই!