দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আসছে অমাবস্যার কটাল। তার সঙ্গে নিম্নচাপের সতর্কতা। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে। অমাবস্যার কটাল ও নিম্নচাপের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় মাইকে প্রচার করে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছ। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যটকদের সমুদ্রের ধারেকাছে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।


আজ থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। এদিন নামখানা এলাকায় টোটোয় চড়ে মাইকে প্রচার করেন বিডিও।


এরইমধ্যে সাগরদ্বীপের কাছে হুগলি নদীর উপর টর্নেডো পরিস্থিতি তৈরি হল। নদীর ওপরই স্তম্ভ আকারে দেখা দিল ঘূর্ণাবর্ত।জল স্তম্ভ আকারে পাক খেয়ে উপরের দিকে উঠছিল। নদীর বুক থেকে ক্রমশ তীরের দিকে আসতে থাকায়  আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে নদীর উপর ছিল ওই টর্নেডো। পরে নদীর উপরেই মিলিয়ে যায় তা।নদী থেকে স্থলভাগে না ঢোকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও দেখেননি তাঁরা। 


আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে যখন ঘূর্ণাবর্তের পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় ছোটখাটো টর্নেডো তৈরি হয়ে থাকে সমুদ্র বা নদীর ওপর।  আবহাওয়া মন্ডলের ওপরে ও নিচে তাপমাত্রার ফারাক থাকলে এমনটা হয়ে থাকে। ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিস্থিতি সময় এ ধরনের ছোটখাটো টর্নেডো সমুদ্র বা নদীতে তৈরি হয়ে থাকে।


 উল্লেখ্য, এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই ২৫ মে বিকেলে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়েছিল হুগলির ব্যান্ডেলে। তছনছ হয়ে য়ায় ব্যান্ডেলের একাংশ। এরপরে গঙ্গা পেরিয়ে ঝড় আছড়ে পড়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ঝড় শুরু হয়। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ওই দিন  দুপুর সাড়ে তিনটেয় হঠাৎই আকাশ কালো করে ঘূর্ণিঝড় এসে হাজির হয় ব্যান্ডেলে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাণ্ডবে ব্যান্ডেল চার্চ লাগোয়া একাধিক দোকানের ক্ষতি হয়। কিছু দোকান উল্টে খালে পড়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি বাড়িরও। ঝড়ের ঝাপটায় বেসামাল হয়ে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর। কার্যত তছনচ হয়ে যায় জেঠিয়া পঞ্চায়েতের বালিভরা এলাকা। অন্তত ২০টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু জায়গায় লাইটপোস্ট উপড়ে পড়ে।