আবির দত্ত, বারাসত: হরিদেবপুরের পর বারাসত। ফের রাজ্যে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি। বারাসতের বাসিন্দা ধৃত লালু সেন ওরফে রাহুল জেএমবি জঙ্গি নাজিউরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করত রাহুল।


জঙ্গিদের জন্য বানাত ভুয়ো পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, আধার কার্ড। হরিদেবপুরে ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের জেরা করে বারাসাতে ওই জঙ্গির খোঁজ মেলে।গতকাল অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটো ল্যাপটপ, আই প্যাড, মোবাইল ফোন ও সন্দেহজনক নথি।


এর আগে ১১ জুলাই দক্ষিণ কলকাতা হরিদেবপুর থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান, সাবির ও রবিউল। তারা শহরে বড় কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলেই অনুমান করছে পুলিশ। জানা যায়, সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন জেএমবি জঙ্গি। অন্তত এমনটাই দাবি কলকাতা পুলিশের এসটিএফের।


তবে শুধুমাত্র নাজিউরই নন, এই ৩ জনের মধ্যে আরও একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর কাগজ ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে প্রচুর বইও। সেই নথি ও বইগুলো ঘেঁটে পুলিশ দেখছে। আপাতত যে তথ্য পুলিশের কাছে উঠে আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের মাস্টার জিয়া গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত ধৃত এই ৩ জন।


পুলিশের থেকে গা ঢাকা দিতে কলকাতা থেকে অন্য জেলায় পালানোর চেষ্টা করছিল জামাত উল মুজাহিদ্দিন জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া এই ৩ জন। দক্ষিণ কলকাতা হরিদেবপুরের কোনও একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের তৎপরতায়।


এরপরই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ওই ৩ জনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে আছে কিনা তার খোঁজ শুরু হয়।  অন্য কোনও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে কিনা এই ৩ জন, তা খতিয়েও দেখতে শুরু করে পুলিশ। আর আজ ফের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।