পশ্চিম মেদিনীপুর: শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ আরও এক নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার।


পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির দাবি, গতকাল তাঁর ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী জানান, তাঁদের চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহারের সম্ভাবনা, বিতর্ক উসকে মন্তব্য জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের। এনিয়ে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


এই প্রথম নয়। এর আগেও শুভেন্দু অনুগামী একাধিক তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। গত ২৪ তারিখ, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো ও তাঁর ছেলে তথা বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুদীপ মাহাতোর নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেয় প্রশাসন।


গত ৭ই নভেম্বর দাদার অনুগামীর ব্যানারে পুরুলিয়া শহরে বিজয়া সম্মিলনী হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের এই দুই নেতা। এরপর গত রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দু’জনে উপস্থিত ছিলেন।


তারপরই তাঁদের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঘটনায় শুরু হয়েছে জল্পনা। সুদীপ মাহাতো জানিয়ে দেন, আমি শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে আছি, দু’টি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলাম, এরপরই নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে।


২০১৩ থেকে ১৮ পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন সৃষ্টিধর মাহাতো। ২০১০ সাল থেকে মাওবাদীদের হিটলিস্টে থাকায় তাঁকে নিরাপত্তা রক্ষী দেয় রাজ্য সরকার।


যদিও, নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের নেপথ্যে কারণ নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনায় জল ঢালার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন সভাধিপতি। সৃষ্টিধর মাহাতো বলেন, আমি ২০১০ থেকে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে মাওবাদী এলাকায় ঘুরে রাজনীতি করেছি, তাঁর সঙ্গে থাকার জন্যই নিরাপত্তা প্রত্যাহার তা ভিত্তিহীন, এটা পুরোটাই প্রশানিক ব্যাপার, রাষ্ট্রই বুঝবে এই নিয়ে।


পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেস জেলা মুখপাত্র নব্যেন্দু মাহালি জানিয়েছিলেন, সভাধিপতি ছিলেন তাই নিরাপত্তা, এখন কার্যক্রম না থাকায় প্রত্যাহার, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আরও অনেকেরই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।


এর আগে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পালের নিরাপত্তারক্ষীও প্রত্যাহার করা হয়। এই দুই নেতাও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।