কলকাতা: আজ সাংবাদিক বৈঠক করে অবস্থান স্পষ্ট করার কথা মন্ত্রিত্বত্যাগী নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আর কোনও কথা নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এই প্রেক্ষিতে ররিবার সাংবাদিক বৈঠক করার কতা মন্ত্রিত্বত্যাগী নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়কের।
তার আগে দলের "বিদ্রোহী" বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলের একাংশের গলায় আক্রমণের সুর। কারও নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুজনেই বুঝিয়ে দিলেন- তৃণমূলে কেউ অপরিহার্য নয়।
বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমাদের একটাই নেত্রী মমতা, পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত পাঁজা গিয়েছিলেন, সবাই জানেন কী হয়েছিল। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব, ওঁর ছায়ায় থাকলে অনেকে নেতা হন, সরে গেলে বুঝবে কত বড় নেতা।
উল্টোদিকে, দলের আরেক অংশ কোনও জল্পনায় যেতে রাজি নয়! তৃণমূল মুখপাত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, শুভেন্দু ছিল আছে, থাকবে, একটা বৃহৎ পরিবারে মনোমালিন্য হতে পারে, তার জন্য যারা উল্লসিত হচ্ছেন, তাদের কান ধরে বাড়ি ফিরতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তাঁর অনুগামীদের সক্রিয়তা থেমে নেই। এবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের সামনেই পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ব্যানার। বর্ধমান শহর ও শহরের উপকণ্ঠে একাধিক জায়গায় দাদার অনুগামীদের ব্যানারে পড়ে পোস্টার।
কিছুক্ষণ পর তা অবশ্য উধাও হয়ে যায়। পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। যদিও এই সব ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় শাসক শিবির।
অন্যদিকে, শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের শুভেন্দু অনুগামীদের অপসারিত করল তৃণমূল। সরানো হল কাঁথি, নন্দকুমার, নন্দীগ্রামের তৃণমূলের চার ব্লক সভাপতিকে। তাঁরা শুভেন্দুর সঙ্গেই আছেন, মন্তব্য অপসারিত নেতাদের।
সূত্রের খবর, ভগবানপুরের ব্লক সভাপতিকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আরও কয়েকজন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল।