পূর্ব মেদিনীপুর: শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠক-জল্পনায় জল। কোনও সাংবাদিক বৈঠকই হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন নন্দীগ্রাম বিধায়কের ঘনিষ্ঠ নেতা। তবে, এরসঙ্গেই তিনি যা বললেন, তা আরও বেশি ইঙ্গিতপূর্ণ।


শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। বেশকিছু দিন ধরেই জল্পনা ছিল, রবিবার অর্থাৎ আজ তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন। সেখা থেকেই অবস্থান স্পষ্ট করার কথা ছিল মন্ত্রিত্বত্যাগী নন্দীগ্রামের বিধায়কের।


কিন্তু, বেলা গড়াতেই সেই সম্ভাবনায় কার্যত জল ঢেলে দেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কণিষ্ক পণ্ডা। তিনি বলেন, ‘দল তাড়ায়নি, আমরাও যাইনি। পদের লোভে দলে নেই, তাড়িয়ে দিলে চলে যাব।’


ওই নেতার দাবি, শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে তৃণমূল। তবে, এরসঙ্গেই তিনি যোগ করেন, শুভেন্দু যা বলার তা লুকিয়ে নয়, সকলকে ডেকে বলবেন, দক্ষিণ কলকাতার কোনও একটি জায়গা থেকে যা বলার বলবেন।


প্রসঙ্গত, ৮ তারিখ, মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। ওই দিনই ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজেপির ‘গৃহ সম্পর্ক’ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।


এছাড়াও চায়ে পে চর্চাতেও যোগ দেবেন নাড্ডা। ভবানীপুরে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে কলকাতা সফরে এসে ভবানীপুরে গেছিলেন বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।


কণিষ্ক পণ্ডার এদিনের মন্তব্যের ইঙ্গিত কি সেদিকেই, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন ফেলেছে।


২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির থেকে মাত্র ৩ হাজার ১৬৮ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।


এই প্রেক্ষাপটে বিধানসভা ভোটের আগে জে পি নাড্ডার ভবানীপুরে আসাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।


এদিকে, পুরুলিয়ায় এবার ‘দাদার অনুগামীদের’ কার্যালয় খুলল। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের কার্যালয় উদ্বোধন করলেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি গৌতম রায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও।