কলকাতা: পরিবারের লোকজন করিয়েছেন, এবার তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাবেন বলে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা সরকারকে নানা ইস্যুতে দিনরাত কাঠগড়ায় তুলতে অভ্যস্ত দিলীপের এহেন অবস্থানে কৌতূহল তৈরি হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই, বিশেষ করে তাঁর দল যখন তৃণমূল সরকারের সাম্প্রতিক স্বাস্থ্যসাথী কর্মসূচিকে ভাঁওতাবাজি তকমা দিয়েছে।
দিলীপ স্বয়ং প্রশ্ন তুলে সংশয় প্রকাশ করেছেন, রাজ্য সরকারের কাছে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর্যাপ্ত অর্থই বরাদ্দ নেই! কিন্তু সম্প্রতি তাঁর পরিবারের সদস্যরাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়েছেন বলে খবর। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে তাঁর বাড়ির লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এমনকী দিলীপের ভাই, গোপীবল্লভপুরের ২ নং ব্লকের বিজেপি প্রধান, হীরক ঘোষ রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরেও হাজির ছিলেন। এবার দিলীপও স্বাস্থ্যসাথী–র সুবিধাভোগীদের তালিকায় নাম লেখাতে ইচ্ছুক বলে জানালেন। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্য়মে বলা হয়েছে, আমি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিরোধী নই, জালিয়াত তৃণমূল সরকারের বিরোধী। সুযোগ পেলে আমিও স্বাস্থ্য়সাথী কার্ডের আবেদন করব।
যদিও একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদের সংযোজন, কার্ডে বাস্তবে কোনও সুবিধা না পেলে তা অর্থহীন। তিনি বলেন, আমার কাছে একটা কার্ড আছে, কিন্তু যদি চিকিত্সাই না মেলে, তবে কী লাভ? তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের ৫ শতাংশও যদি এর সুবিধা পেতে চায়, তবে রাজ্যের তহবিল থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু চলতি বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য বাজেটে বরাদ্দই হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। স্বাস্থ্যসাথী টিমের টাকা আসবে কোথা থেকে? যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাঁর বক্তব্য খারিজ করা হয়েছে।
এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতির বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েও প্রচ্ছন্ন খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ইতিমধ্যেই দিলীপবাবুর পরিবার বুঝেছেন, তাই কার্ডটা করিয়েছেন। এখন দিলীপবাবুরও এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। ওনার বয়স বাড়ছে, স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দরকার। তাই তাড়াতাড়ি কার্ডটা করিয়ে নিন। উপকার পাবেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিতেও তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন সৌগত।