পূর্ব মেদিনীপুর: অধিকারী-গড়ে দাঁড়িয়ে জনসভা থেকে শুভেন্দুকে আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘আজকে তুমি বিজেপি শোনাচ্ছো, মমতাকে আক্রমণ করছো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ভাইপো হলে শুভেন্দু কাঁথির ভাইপো।’


কুণাল যোগ করেন, ‘শুভেন্দু আমাকে মানহানির মামলার নোটিস পাঠিয়েছিল। মামলা লড়তে দেরি হওয়ায় জরিমানা দিতে হয়েছিল। আমার বন্দিদশার সুযোগ নিয়ে পরিবারকে শেষ করেছিল। সুদীপ্ত সেনের বয়ান নিয়ে আমি সেই মামলা লড়ব।’


এখানেই থামেননি। কুণাল বলেন, ‘কোথা থেকে হারবে ঠিক করে নাও শুভেন্দু অধিকারী। এমনভাবে রসগোল্লা খাওয়াবেন, যেন বোঝা যায় কোথাকার। বাইরের রাজ্য থেকে মিটিং-মিছিল করতে এলে রসগোল্লা দিয়ে আপ্যায়ণ করা হবে।’


বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিংহকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এপ্রসঙ্গে জনসভা থেকে কুণাল নিশানা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। বলেন, ‘কেডি সিংহের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন মুকুল রায়। আদালতের কাছে এমনই জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন।’


তিনি বলেন, ‘৫০ লক্ষ ড্রাফটের নামে একজন নগদ নিয়েছিলেন। বিচার হবে না? শুধু অন্যদের দিকে আঙুল তুলবেন? বাংলার ভোটাধিকার ছেড়েছে মুকুল, পালিয়ে গেছে।


মিছিলের জমায়েত নিয়ে এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, ‘কোনও দূরের বাস নেই, স্থানীয়দের জমায়েত। মেচেদা স্টিকার দেওয়া বাস নিয়ে মিছিল করতে হয়নি।


শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। বুধবার পটাশপুরে তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় আঁচল ছাড়া বেরোতে পারেন না। বৈশাখী বলছিলেন, শোভনকে ঘুষ নিতে দেখিনি। ঘুষ তো বেডরুমে নয়, চেম্বারে নিয়েছিল শোভন।’


কৃষি আইন নিয়েও মোদি সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। বলেন, ‘কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী আইন স্থগিত করেছে আদালত।’


মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী, ভেদাভেদ করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা। যারা গেছে তারা যাক, যেতে চাইলে চলে যাক।
উত্তরপ্রদেশের বারোটা বাজিয়ে বাংলায় আসছে। আদি-নব্য-পরিযায়ীদের সার্কাস বিজেপি।’


তৃণমূল মুখপাত্রের পূর্বাভাস, এবার ২৯৪টির মধ্যে ২২৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল।