কলকাতা: গড়িয়ায় মৃতদেহ সৎকারের ঘটনা নিয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের ট্যুইট। তাতে লেখা হয়েছে, মৃতদেহের মর্যাদা দিতে জানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে সব ধরনের স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে। মৃতদের শোকগ্রস্ত আত্মীয়দের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া হয়েছে। এটাই আসল ঘটনা। সম্প্রতি যে ঘটনার কথা আলোচিত হচ্ছে, সেটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ সৎকারের জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর সঙ্গে করোনা অতিমারীর কোনও সম্পর্ক নেই। মহামান্য রাজ্যপালকে এই বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বারবার ব্যাখ্যা করা সত্ত্বেও এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে অতিমারীর সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ায়, সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। এটা প্রশাসনকে নিরুৎসাহী করার চেষ্টা। স্বাস্থ্য কর্মী সহ করোনা-যোদ্ধাদের এতে মর্যাদাহানি হচ্ছে। গোটা রাজ্য কোভিড ও উমপুনের জোড়া আঘাতের মোকাবিলা করছে, এই পরিস্থিতিতে এমন অসত্য ভাষণের নিন্দা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। ভুয়ো খবর ও ভুল তথ্য ছড়াবেন না। সাহায্য করবেন সরকারকে। এটাই রাজ্যপালের কাছে প্রত্যাশিত। ট্যুইট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সঙ্গে দিলেন দেহ সৎকার নিয়ে সরকারি নির্দেশের নথি। দিলেন এ নিয়ে সিপি-কে লেখা এনআরএস অধ্যক্ষের চিঠি।

গড়িয়ায় দাবিদারহীন মৃতদেহ সৎকারের ঘটনায় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর ট্যুইট। তিনি লেখেন, গড়িয়া মৃতদেহ নিয়ে যে বর্বরতা ― তা বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতার ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে। এখন নানা অছিলায় মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। দাবিদারহীন বলেই কি মানুষের মৃতদেহ নয়? করোনা মৃত্যুর সংখ্যা-গোপন চলছে। শ্মশানঘাটের ঠিকাদার কে? কার লোক? নারদ কাণ্ডের ‘হিরো’ কলকাতার মেয়র, একজন চরম অপদার্থ, পদত্যাগ করুন।