নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে আজ কাকভোরে শহিদ দিবস পালন করল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। আজ সেখানে সকালে তৃণমূলের সভাও হয়েছে।  যেখানে মূল বক্তা ছিলেন সুব্রত বক্সী।

তবে এই শহিদ দিবসে সময়ের সংঘাত এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল রাত ১২টায় ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ তাঁর নেতাই যাওয়ার কথা। আজ ভোর সাড়ে চারটেয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করে। সেই মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। আবু সুফিয়ান অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দুকে সেখানে বিশেষ দেখা যায়নি।

আবার নন্দীগ্রামে গতকাল রাতেই শহিদ বেদীতে মালা দেন শুভেন্দু। তিনি  সেখানে কটাক্ষ করে বলেন, নন্দীগ্রামে তিনবছর কেউ আসেননি। পরেও কেউ আসবেন না। ভোটের বছর বলে এখন অনেকের আনাগোনা বেড়েছে।

আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামে আসার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সভায় যাবেন না তিনি। নন্দীগ্রামে এরপর মুখ্যমন্ত্রী কবে যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এদিকে দলবদলের পর ২৯ ডিসেম্বর প্রথম নন্দীগ্রামে পা রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে টেঙ্গুয়া থেকে নন্দীগ্রাম বাজারের কাছে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রা করেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর সবায় আসার পথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাসে তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক আহত হন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে রাতেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল অভিযোগ করে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরে তাদের পার্টি অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।