কংগ্রেস ও বাম শিবির থেকে মোট ১০ জন সদস্য, জার্সি বদলে শাসক দলে। যার জেরে, অধীর চৌধুরীর খাস তালুক, মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদ কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
গত পঞ্চায়েত ভোটে, ৭০ আসনের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র একটি আসন। কংগ্রেস ৪২টি। বামেরা ২৭টি। এক জন সদস্য বিধায়ক হয়ে যাওয়ায় এখন মোট সদস্য সংখ্যা ৬৯। ম্যাজিক ফিগার ৩৫।
এরপর, তৃণমূল ধাপে ধাপে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরিয়েছে।
তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় উনত্রিশে। জেলা পরিষদ দখলে দরকার ছিল আর ছয়। এ দিন যোগ দিলেন ১০জন। সাতজন কংগ্রেসের। ২ জন সিপিএমের। একজন আরএসপির। এর জেরে ম্যাজিক ফিগার ৩৫ ছাপিয়ে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হল ৩৯।
বিরোধীদের অভিযোগ,
কখনও নানা ধরনের প্রলোভন, কখনও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি, কখনও আবার বিরোধীদের হাতে বোর্ড থাকলে টাকা না দেওয়া...
এরকমই নানা কৌশলে বিরোধী শিবির ভাঙাচ্ছে তৃণমূল। ভোটে না জিতেও অনৈতিকভাবে দখল নিয়ে নিচ্ছে পুরসভা-জেলা পরিষদের।
বিরোধীদের এই অভিযোগ অবশ্য এ দিনও উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, নিয়ম মেনেই দলবদল হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পাশাপাশি ওই জেলারই ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও এ দিন দখলে নিয়েছে তৃণমূল। ওই পঞ্চায়েত সমিতির ১২ জন সদস্য শাসক দলে নাম লেখান। এছাড়া, অনাস্থা ভোটে সিপিএমকে হারিয়ে মালদার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিও এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দখলে নিয়েছে তৃণমূল।