কলকাতা: ইসলামপুরে ছাত্র খুনের ঘটনায় ২৬ তারিখ বাংলা বনধের ডাক বিজেপির। বিরোধিতায় একসুর তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস।
ইসলামপুরে ছাত্র খুনের নিন্দায় সরব সব বিরোধী দল। তবে এই ইস্যুতে বিজেপি যে বনধ ডেকেছে, তার পাশে নেই সিপিএম-কংগ্রেস। উল্টে বনধের বিরোধিতায় তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসের গলায় কার্যত একসুর। তৃণমূল সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বনধ মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিলান থেকে বিজেপি, আরএসএসকে কাঠগড়ায় তুলে ইসলামপুরের ঘটনার জেরে বনধের ডাকের তীব্র বিরোধিতা করেন। প্রশাসনকে বনধ শান্তিপূর্ণভাবে ব্যর্থ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বনধ ব্যর্থ করার ডাক দেন।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রশ্নকে সামনে রেখে বিভাজনের রাজনীতির চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন তারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামতে চাইছে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার যে বাংলা বনধের ঘোষণা করেছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্য বামফ্রন্ট বিজেপির ডাকা এই বনধকে সমর্থন করতে পারছে না।
এক সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের গলাতেও।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীরা যখন কাছাকাছি আসছে, তখন বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের একসুরে বিরোধিতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।