কলকাতা: জামিনে মুক্ত তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।গ্রেফতার করার পর ধৃতকে হেফাজতে চায়নি পুলিশ! নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে দিতে পারেনি চার্জশিট!! অনিন্দ্যকাণ্ডে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
সোমবার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করে বিধাননগর মহকুমা আদালত। এদিন সন্ধে ৬.৪৫ দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান অনিন্দ্য। বেরিয়ে বলেন, অনুগত সৈনিক ছিলাম, আছি, থাকব। ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ব্যবহার করিনি।
যদিও, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ভুরি ভুরি।এই তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রণামী না দিয়ে একটিও ইট গাঁথা সম্ভব ছিল না। রেহাই ছিল না, সল্টলেকের রিকশাওয়ালা, ছাতুর সরবত বিক্রেতা থেকে ঝুপড়িবাসী, চায়ের দোকানদারদেরও।
এক আত্মীয় সল্টলেকে নিজের বাড়ির নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের তোলাবাজির কবলে পড়েন বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
এরপরই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে।
সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে এনিয়ে মমতা বলেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঘটনা দল, দলের বাইরের কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের কাছে একটা সতর্ক বার্তা। যাঁরা ভবিষ্যতে অসৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাঁদের বিরুদ্ধে একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ হেফাজতে না চাওয়ায় গ্রেফতারির পর থেকে এতদিন জেল হেফাজতেই ছিলেন বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু তারপরেও ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি পুলিশ।