কলকাতা: পাঁচলার পর এবার বাগনান। হাওড়ায় ফের আক্রান্ত প্রতিবাদী। গুরুতর আহত ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ঘটনাস্থল হাওড়ার বাগনানের আদ্রা গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির চারপাশে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে এক যুবকের সঙ্গে বিবাদ বাধে প্রতিবেশী শেখ মোজামের। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে ওই যুবকের নাবালিকা বোন যখন টিউশন পড়তে যাচ্ছিল, তখন ওই কিশোরীকে কটূক্তি করে ও ধর্ষণের হুমকি দেয় শেখ মোজাম।
সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী ঘটনার কথা বাড়িতে জানালে সোমবার সকালে শেখ মোজামের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁর দাদা। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন হঠাত্‍ই তাঁর পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় মোজাম।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণকে প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে  উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পেট থেকে ছুরি বের করতে না পারায় এবং অবস্থার অবনিত হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযুক্ত পলাতক।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই, হাওড়ার পাঁচলায় প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে খুন হয়েছেন শেখ ইজরায়েল নামে এক জরির কারিগর। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতেরই এক আত্মীয়কে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার প্রতিবাদী আক্রান্ত বাগনানে। যে বাগনানে গত ১২ অগাষ্ট মদ, গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় এই আইআরবি জওয়ানকে। জওয়ানকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় এক ছাত্রও। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদী হয়ে ওঠায় জীবন দিয়েও মাসুল গুণতে হয়েছে অনেককে।
যেমন, সালকিয়ার অরূপ ভাণ্ডারী। গত বছর সরস্বতী পুজোর বিসর্জনে পাড়ার তরুণীদের কটুক্তি করছিল কয়েকজন যুবক। প্রতিবাদ করায় অরূপকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরে হাসপাতালে মারা যান ওই প্রতিবাদী।
এবার বোনকে কটূক্তি-ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ করায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এক প্রতিবাদী যুবক।