হুগলি: সারদা-নারদাতে যাদের নাম ছিল, তারাই যাচ্ছে বিজেপিতে। কল্যাণের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন অপরূপা পোদ্দার। ওনার ভেবে বলা উচিত পাল্টা অপরূপার। দুই তৃণমূল সাংসদের বাগযুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।

এক দল।এক জেলা।দুই সাংসদ।একজনের বক্তব্যে অপরজনের অসন্তোষপ্রকাশ।বক্তা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তাঁর মন্তব্যে অসন্তুষ্ট আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার!


গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে সংবাদ শিরোনামে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! আর এই আক্রমণ করতে গিয়েই তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে নারদ স্টিংকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেছিলেন, এর আগে ২০১৬ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সব কেন্দ্রে প্রার্থী তিনি, সেখানে কিন্তু শুভেন্দু কোনওভাবেই বলেননি তিনি আলাদাভাবে লড়েছেন (সাহস দেখায়নি)। কেউ যদি বিজেপিতে যায় তা ব্যক্তিগত, সারদা-নারদায় যাদের নাম জড়িয়েছে তারাই এখন বিজেপিতে।

নারদ স্টিংকাণ্ডে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারেরও। আর স্বাভাবিকভাবেই কল্যাণের মুখে নারদের প্রসঙ্গ উঠে আসায় অসন্তুষ্ট তিনি। আরামবাগের সাংসদ বলেছেন, সারদা-নারদা নিয়ে এক বর্ষীয়ান নেতার কথায় বিজেপি বল পাচ্ছে। এটা ওনার ভেবে বলা উচিত ।

এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফাইয়ের সুরে বলেছেন, আমার কথা বুঝতে ভুল হয়েছে। আমি বলেছি যাঁরা নারদ-সারদায় যুক্ত তাঁরা তৃণমূলে থাকলে দোষী, আর বিজেপিতে গেলে সাধু হয়ে যায়।

নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।এদিকে দুই তৃণমূল সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্যে গুগলি দিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেছেন, মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদা সারদা বিষয় নয়। যারা জড়িত আইনত শাস্তি হবে।নাম জড়ালে বিজেপিতে আসবেন, এটা ঠিক নয়। উনিও কদিন পর বিজেপির হাত ধরবেন। পাল্টা কল্যাণের কটাক্ষ, ২০২৪ নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট চাইবেন লকেট।

হুগলি জেলায় ২০১৯ সালে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি আসন পায় তৃণমূল। তারমধ্যে আরামবাগ আসনে মাত্র ১ হাজার ১৪২ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল সাংসদ অপরূপো পোদ্দার।হুগলি লোকসভা আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী হুগলি জেলায় ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল, ৮টিতে বিজেপি।