কলকাতা: হালিশহরে ভোটের আগের রাতে বাড়িতে ঢুকে ৩ বছরের শিশুকে নৃশংস মার। ভোট মিটতেই শিশুর বাবাকে মুচলেকা লিখতে বাধ্য করার অভিযোগ! তৃণমূল দু’ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, তাদের অস্বস্তি ফের বাড়িয়ে দিলেন দলের স্থানীয় সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, আমার হৃদয় ওই ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, দল না দেখে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। ওর সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি।
দীনেশ ত্রিবেদীর লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরের মধ্যেই পড়ে হালিশহর। যেখানে পঞ্চম দফা ভোটের আগে রাতে, দুষ্কৃতীরা কোলের শিশুকেও রেহাই দেয়নি। সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন,আমি ওই মেয়েটি এবং তার পরিবারের পাশে আছি। এলাকার সাংসদ হিসেবে যা দরকার, করব। ওই মেয়েটির সাফল্য কামনা করি। আমি নিশ্চিত, ছোট্ট মেয়েটি বড় হয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র বা আমার মতো পাইলট হবে। সবচেয়ে বড় কথা একজন সুনাগরিক হয়ে উঠবে। ঈশ্বর ওর মঙ্গল করুন।
শুধু দলের অন্দরে অস্বস্তিই নয়, হালিশহর ইস্যুতে বিরোধীদেরও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। মুচলেকা-বিতর্কে বৃহস্পতিবার সুর চড়ান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সূর্যকান্ত মিশ্র বললেন, ১৯ তারিখের পর মুচলেকা ছিঁড়ে ফেলে দেবে মানুষই।


বুধবার রাজ্যে এসে হালিশহরের শিশুর আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন রাহুল গাঁধীও।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই প্রেক্ষাপটে, এবার হালিশহরকাণ্ডে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। কয়েক দিন আগে, নারদকাণ্ডের নাম না করে, বিস্ফোরক মন্তব্যেও দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছিলেন তিনি।

এদিকে, আজ শিশুর বাড়িতে গেলেন বিদ্বজ্জনদের একাংশ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভারতী মুত্সুদ্দি, চন্দন সেন, শুভেন্দু মাইতিরা। শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বিশিষ্ট জনেরা। ঘটনার তদন্ত ও শিশুর পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে পুলিশ কমিশনারেটে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।