কলকাতা: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে তোপ দেগেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।


শনিবার কল্যাণ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যত ক্রিমিন্যাল আছে, তাদের সঙ্গে সবথেকে বেশি যোগাযোগ রয়েছে যাঁর, তাঁর নাম জগদীপ ধনকড়। বিজেপির গুন্ডাদের সঙ্গে সবচেয়ে যার বেশি যোগাযোগ রয়েছে, তার নাম জগদীপ ধনকড়। উনি রাজভবনে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেন ও তাদের সঙ্গে বসে বৈঠক করেন।’ এখানেই থেমে না থেকে কল্যাণের বিদ্রুপ, ‘রাজ্যের যত লোক ঠকানো শিল্পপতি আছে, তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে টি পার্টি করেন জগদীপ ধনকড়। ক্ষমতা থাকলে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করে দেখান। কলকাতায় আমরা আপনার গাড়ি চালাতে দেব না।’

শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় কেন্দ্রের কৃষি বিল বিরোধী মিছিল ও সভা করতে গিয়ে এই ভাষাতেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ তথা তৃনমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় অনেক বড় বড় নেতা হয়। তাতে কিছু যায় আসে না। গাছটার তলা থেকে চলে যাবে তখন বুঝতে পারবে কে কত বড় নেতা আর কে নেতা নয়। আমিও বাঁকুড়ার ছেলে। পান্তা ভাত খাওয়া মানুষ। আমরা বাঁকুড়ার মানুষ পান্তাভাত খাই। আমাদের কাজু বাদাম খাওয়া চেহারা নয়।’ এই বক্তব্যকে ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একাংশের ধারণা, কল্যাণ আসলে নাম না করে শুভেন্দুকেই ইঙ্গিত করেছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কচি খোকা বলে উল্লেখ করে এদিন কল্যাণ বলেন, ‘কচি খোকা নাকি আমাকে বুড়ো বলেছে। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু কনে আর ওর কপালে জোটেনি। উনি বলতে চাইছেন আমি এখন সভাপতি তাই আমি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছি। উনি বলেছেন আমরা সব তৃণমূলের কর্মচারী। আমি বলছি হ্যাঁ আমরা জনগনের কর্মচারী।’

সম্প্রতি তৃণমূলের অনেকে বেসুরো গাইছেন। সেই প্রসঙ্গে এদিন সতর্ক করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘চিহ্নিত করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছি কর্মীদের। এখন কেউ কেউ দিনে তৃণমূল আর রাতে গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এদের চিহ্নিত করুন। এদের বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না।’