কলকাতা: ওয়েবসাইটে নকল ছবি বিতর্কে আরও অস্বস্তিতে তৃণমূল। তিনদিন আগে এনিয়ে দলের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন ভুলস্বীকার করলেও তৃণমূলের ফেসবুক পেজে রেখে দেওয়া হয়েছিল সেই ছবি। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা সরব হলে ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সেটি।

 

 

প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ কারাট ও রাজনাথ সিংহর ছবি দেখিয়ে সিপিএম-বিজেপি সখ্যের প্রমাণ তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ছবিটি যে নকল, তা জানাজানি হতেই ডেরেক ভুল স্বীকার করেন। মেনে নেন, সিপিএম-বিজেপি আঁতাঁতের প্রমাণ স্বরূপ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর দেখানো ছবিটি নকল! ডেরেক ভুল মেনে নেওয়ার পর ওয়েবসাইট থেকে ছবিটি  সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার তিনদিন পরও সেটি রেখে দেওয়া হয় দলের ফেসবুক পেজে।

 

এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ভুল স্বীকারের পরও ছবি কেন ফেসবুকে। পুলিশের কাছে যাব আমরা। অন্যদিকে এটা  ‘লোক দেখানো ভুল’ বলে কটাক্ষ করেন সিপিএম রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি সরিয়ে দেয় তৃণমূল!

 

যদিও ছবি সরিয়ে নিলেও এত সহজে তৃণমূলকে রেহাই দিতে নারাজ বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তারা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে এদিন ফের লালবাজারে যায় বিজেপি।

এদিকে ছবি-বিতর্কে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে সিপিএমও। ইতিমধ্যেই দিল্লির মন্দিরমার্গ থানায় ডেরেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন কারাট। ডেরেক রাজ্যসভার সদস্য হওয়ায় সেখানকার এথিক্স কমিটির বৈঠকে বিষয়টি তুলেছেন সীতারাম ইয়েচুরিও। ঋতব্রত বলেছেন, আমরা এথিক্স কমিটির কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাব

 

কিন্তু এসবের মাঝে প্রশ্ন একটাই ছবি নিয়ে ডেরেক  প্রকাশ্যে ভুল স্বীকারের তিনদিন পরও কেন দলের ফেসবুক পেজে রেখে দেওয়া হল এই ছবি? তবে কি ভুল স্বীকার সত্যিই লোক দেখানো? বিরোধীদের দাবি, এটা তৃণমূলের জোড়া কৌশল! একদিকে ভুল স্বীকার করে বিতর্কের আগুনে জল ঢালার চেষ্টা, অন্যদিকে, ফেসবুকে ছবিটি রেখে দিয়ে উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়াস! অর্থাৎ সাপও মরল, আবার লাঠিও ভাঙল না!