শুক্রবার ধর্মঘটের দিন বাস চলেনি, তাই পরদিন অর্থাৎ শনিবার রাস্তায় বাস নামাতে দেওয়া হল না! সার দিয়ে স্ট্যান্ডেই পড়ে রইল বহু বাস। হয়রানির শিকার হলেন অসংখ্য যাত্রী!
মালিকদের একাংশের দাবি, ভাঙচুরের ভয়ে শুক্রবারের সাধারণ ধর্মঘটে তাঁরা বাস নামাননি। এতেই মেজাজ বিগড়ে যায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের! অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাস মালিকদের হুমকি দেয় তৃণমূল। শনিবার, দলীয় পতাকা হাতে অনুগামীদের নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
শাসক দলের এই অবস্থানের জেরে স্ট্যান্ড থেকে বাস বেরোতে পারেনি। রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাস মালিকরা। দুপুরে দাসপুরের বিডিও অফিসে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বাস মালিকদের তৃণমূল নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
ধর্মঘটের পরদিন যখন দিকে দিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ, সেদিনই কিছুটা অন্য ছবি দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। শুক্রবার নোনা চন্দনপুকুরের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল ধর্মঘটীরা। এদিন সেই তালা খুলে ব্যাঙ্ক চালু করে পুলিশ।