হুগলি: শ্যাওড়াফুলি স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস রেল কর্তৃপক্ষের।
খুচরোর সমস্যা? বড় নোট দিলে সেটাও পাবেন। নিত্য যাতায়াত করেন, এমন অনেকেই নাকি মাসোহারার ব্যবস্থাও করেছেন!
সবজি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যিনি টাকা তুলছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। রেলের টিকিট পরীক্ষক। বেতন নিচ্ছেন সরকারের কাছে, আর নিজের কর্মস্থল থেকেও বেআইনিভাবে টাকা তুলছেন। সাদা জমা পরে একেবারে ‘হোয়াইট কলার’ ক্রাইম!
এক সব্জি ব্যবসায়ী বললেন, আমাদের সঙ্গে মাসিক চুক্তি আছে, ১০,২০ যখন যা পারি দিই। হুগলির শ্যাওড়াফুলি জংশন থেকে নিত্য কলকাতায় সবজি সরবরাহ করেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।
কখনও নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সবজি নিয়ে যান তাঁরা। কখনও ভেন্ডারের বদলে মালপত্র নিয়ে উঠে যান জেনারেল কামরায়। অভিযোগ, এই অনিয়মেরই সদ্ব্যবহার করেন টিকিট পরীক্ষকদের একাংশ। সব্জি ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি সবজি নিয়ে গেলে ১০-২০ টাকা দিলে, ওনারা ব্যবস্থা করে দেন।
অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন শ্যাওড়াফুলি স্টেশনের প্রধান টিকিট পরীক্ষক।
শ্যাওড়াফুলি স্টেশনের হেড টিটি শেখ গোলাম নবি বলেন, টার্গেট ফিল আপ করার থাকে, সেটা করতেই হয়, রসিদ দিতে হয়। আমরা দেখব কারা এভাবে টাকা তুলছে।
তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। রবি মহাপাত্র বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কবে বন্ধ হবে এই অনিয়ম? প্রশ্ন তুলছেন নিত্যযাত্রীরা।