উত্তর ২৪ পরগনা: ছাপানো হয়েছিল অ্যাডমিটকার্ড ও প্রশ্নপত্র। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে চলছিল রেলে চাকরির পরীক্ষা।

কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বাদ সাধল পুলিশ! রেলে চাকরির ভুয়ো পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় ধরা পড়লেন দুই প্রতারক।

পুলিশ সূত্রে খবর, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৫ জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন হাওড়ার গদাধরপুর স্টেশন লাগোয়া রেলগেটের রক্ষী শ্রীকৃষ্ণ রায়। চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন অভিযুক্ত।

রবিবার দুপুরে সেই ভুয়ো পরীক্ষাই নেওয়া হচ্ছিল গোপালনগরের মানিককোল হাইস্কুলে।

কিন্তু পরীক্ষার জন্য স্কুলের অনুমতি দিল কে?

পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে,মূল ষড়যন্ত্রকারী শ্রীকৃষ্ণ রায় মানিককোল হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নাথুরাম মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। টাকার লোভে স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই রবিবার স্কুল খুলে দেন নাথুরাম। পরীক্ষা পরিচালনা করছিলেন ভারতী রায় নামে স্কুলেরই এক পার্শ্বশিক্ষক।

তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষক।

স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু জানতে না পারলেও গোপনসূত্রে ভুয়ো পরীক্ষার কথা জানতে পারে রেলের ভিজিল্যান্স শাখা। এই শাখার আধিকারিকরা রবিবার দুপুরে গোপালনগর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন স্কুলে। পুলিশ জানিয়েছে,   মানিককোল হাইস্কুলে তখন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ১৫ জন। হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় শ্রীকৃষ্ণ রায় এবং নাথুরাম মজুমদারকে।

তবে অভিযুক্ত প্যারাটিচারকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ধৃত দু’জনকে সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রুজু হয়েছে মামলা। সোমবার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নাথুরাম মজুমদার ও পার্শ্বশিক্ষক ভারতী রায়কে সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।