জয়নগর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): অমানবিকতার আর এক নজির! শাসনের নামে খুদে পড়ুয়াকে এলোপাথাড়ি ডাস্টারের বাড়ি !! ফের অভিযুক্ত স্কুলের শিক্ষক। জয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের। মারধর করা উচিত হয়নি, ভুল স্বীকার অভিযুক্ত শিক্ষকের।


স্কুলের নাম নিত্যকালী বালিকা বিদ্যালয়। কিন্তু পড়াশোনা করে ছেলে-মেয়ে সবাই। এই স্কুলেই দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক শুভজিত্‍ চাউরিয়ার বিরুদ্ধে। অসুস্থ ছাত্রটি জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন ক্লাসের মধ্যে সহপাঠীর সঙ্গে তার মারামারি হয়। তার ফলে সহপাঠীর কপাল ছড়ে যায়। অভিযোগ, এরপরই তাকে ডেকে ডাস্টার দিয়ে মারধর করেন শিক্ষক, চোট লাগে বাঁ হাতে।

পরিবারের দাবি, ছুটির পর বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি ছাত্রটি।

কিন্তু স্কুলের পোশাক খোলার সময় বাড়ির লোকেরা দেখেন শরীরে আঘাতে চিহ্নি, ফুলে গিয়েছে বাঁ হাত। জিজ্ঞেস করলে জানায়, স্কুলের মারধরের কথা। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রকে নিয়ে স্কুলে যান বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে।

পরে জয়নগর থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে এফআইআর করে পরিবার। ঘটনা জানাজানি হতে প্রতিবাদে সরব হন অন্যান্য অভিভাবকরা। চাপের মুখে এদিন অবশ্য ভুল স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

আইন আছে, আইনে কড়া শাস্তির বিধানও আছে! তা সত্বেও বন্ধ হচ্ছে না ‘কর্পোরাল পানিশমেন্ট’! শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্যাতনের জেরে অনেক খুদের কাছেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে উঠছে বিভীষিকার কারণ! কবে বন্ধ হবে এসব? প্রশ্ন অভিভাবকদের।