নদিয়া: নদিয়ার দত্তফুলিয়ায় জোড়া খুন। বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ। পাশ থেকে মিলল রক্তমাখা হাতুড়ি। কেন খুন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

নদিয়ার দত্তফুলিয়ার কালোপুর গ্রাম। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দূরত্ব মাত্র আধ কিলোমিটার। এরকম স্পর্শকাতর জায়গাতেই বাড়িতে ঢুকে এক মহিলা-সহ দু’জনকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পঁয়তাল্লিশের সুভাষ বিশ্বাস ফুলের ব্যবসা করতেন। রবিবার রাতে দূর সম্পর্কের দিদি বছর আটচল্লিশের নয়নতারা বারুইয়ের বাড়ি যান তিনি। রাতে আর নিজের বাড়িতে ফেরেননি। সকালে নয়নতারার বাড়ি যান ফুল ব্যবসায়ীর স্ত্রী লাবনী বিশ্বাস। তিনি গিয়ে দেখেন, বাইরে থেকে ঘরে শিকল দেওয়া। লাবনীর দাবি, শিকল খুলে ঘরে ঢুকতেই দেখেন, ঘরের মেঝেতে পাশাপাশি পড়ে রয়েছে সুভাষ ও নয়নতারার দেহ। সুভাষের দেহে ইলেকট্রিকের তার জড়ানো এবং পোশাকের কিছুটা অংশ পোড়া ছিল। দেহ দুটির পাশের পড়ে ছিল রক্তমাখা হাতুড়ি।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের মাথাতেই ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। কিন্তু কেন এভাবে দু’জনকে খুন করা হল? তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।