বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: সোনার বিস্কুটসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করল ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রাকেশ কুমার এবং রমেশ কুমার শুক্লা। ধৃত দু-জনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রায় ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে এবং উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। 


ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবর পেয়ে অভিযানে নামে তাদের বিশেষ দল। এর পর শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড সংলগ্ন একটি শপিং মলের কাছে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি আটক করে। এর পর গাড়িতে থাকা ওই দুই উত্তরপ্রদেশের যাত্রীর তল্লাশি নেয় ডিআরআই এর টিম। 


তল্লাশি চালিয়ে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫০ টি সোনার বিস্কুট। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের ওজন ৮ কিলো ৩০০ গ্রাম বলে জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। ডিআরআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোনার বিস্কুটগুলি মায়ানমার থেকে অসম হয়ে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল ধৃতদের। তবে তার আগেই দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। মঙ্গলবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। 


উল্লেখ্য, আজই বালুরঘাটে চন্দন কাঠসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালুরঘাট শহরের কলকালি খাড়ি এলাকায় হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বালুরঘাট থানা ও পতিরাম থানা যৌথভাবে হানা দিয়ে এক কুইন্টালের উপর লাল চন্দন কাঠগুলি একটি সাদা ট্যাক্সি থেকে উদ্ধার করে।


জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে তা বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়ার ছক কষছিল। আজ দুপুরে বালুরঘাট থানায় ডাকা এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ধৃতরা হলেন সঞ্জীব দেবনাথ,  রাজেশ কর্মকার ও অভিজিৎ  সোরেন ওরফে পলটু। এদের সবার বয়স ত্রিশের উপর। এদের  বাড়ি বালুরঘাট থানার কামারপাড়া এলাকায়।


এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, এই চন্দন কাঠ গুলি কলকাতা থেকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এর আগে কয়েক বছর আগে এরকম ঘটনা কুমারগঞ্জ থানায় ঘটলেও সাম্প্রতিক কালে এই ধরনের ঘটনা জেলাতে ঘটেনি বলেই তিনি জানান। ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হয়।