বাঁকুড়া: জীবনে উদ্দামতা উপভোগ করতে এসকর্ট সার্ভিসও নিত উদয়ন দাস। কল গার্লদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মিলেছে সিঙ্গাপুরের এসকর্ট সার্ভিসের সঙ্গে যুক্তদের নম্বরও। এমনটাই দাবি বাঁকুড়া পুলিশের।
উদয়নকে জেরায় পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে, দিল্লির একটি হোটেলের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যেখানে আকাঙ্খা শর্মাকে নিয়ে প্রায়ই যেত উদয়ন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হোটেলে কল গার্লদের যাতায়াত রয়েছে। উদয়নের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে, বেশ কয়েকজন কল গার্লের নম্বর মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। এবং তাঁদের সঙ্গে উদয়নের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরার দাবি, জেরায় উদয়ন জানায়, সে এসকর্ট সার্ভিসে প্রচুর টাকা ব্যয় করেছে। সিঙ্গাপুর, মুম্বই-দিল্লি গিয়েছে। তারপর সে মনে করে স্টেডি গার্ল ফ্রেন্ড দরকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়নের ল্যাপটপে পর্নোগ্রাফি ঠাসা একটি ফোল্ডারের হদিশ মিলেছে। এর পাশাপাশি উদয়নের একাধিক বান্ধবীর সঙ্গে নানা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, উদয়নের বিকৃত যৌন মানসিকতা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় উদয়ন দাবি করেছে যে, ২০১১-তে সে সিঙ্গাপুরে গিয়ে এসকর্ট সার্ভিস নিয়েছিল। আর ৬ বছর পরও উদয়নের মোবাইল ফোনে সিঙ্গাপুরের কল গার্লদের নম্বর মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ, তাহলে কি নিজেও এসকর্ট সার্ভিসে জড়িয়ে পড়েছিল উদয়ন?
তদন্তকারীদের এই সন্দেহ আরও জোরাল হচ্ছে, তার কারণ, নিজেকে ধনী প্রতিপন্ন করত উদয়ন। সেই লক্ষ্যে হাইপ্রোফাইল বন্ধুও তৈরি করেছিল সে। সেই বন্ধুদেরও কি এসকর্ট সার্ভিস পাইয়ে দিয়ে, অর্থ উপার্জন করত উদয়ন? কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।