গোবরডাঙা: জল্পনার অবসান। তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তপন সিন্হা। গতকাল গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেন তিনি। মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তপন সিন্হা। বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না বলে জানানোয় তাঁকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তপন সিনহাও গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন। 
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক নেতা-কর্মী। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের পর এবার উল্টো-স্রোত। যদিও মুকুল রায় ভোটের অনেক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলে ফিরতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও অনেক বিজেপি নেতাই বেসুরো গেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তপন সিনহাও। শেষপর্যন্ত তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
সপুত্র মুকুল তৃণমূলে ফেরার পর  জল্পনা তৈরি হয়, এবার ততাঁর অনুগামীরাও কি পা বাড়াবেন তৃণমূলের দিকে? সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায় দু’জনই। 
২০১৭-তে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর হাত ধরেই, তৃণমূল ভাঙিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার একের পর এক পুরসভার দখল নিতে শুরু করে বিজেপি। সেগুলি বেশিদিন ধরে রাখতে না পারলেও, তৃণমূলে ভাঙন থামেনি। 
সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে জিতে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর চাকাটা আবার উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা একে একে আবার তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, যাঁরা হেরেছেন তাঁরাই শুধু নন, বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হয়েছেন, এমন অনেকে দলে আসতে চাইছেন। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, বিজেপির জেতা ৬-৭ জন বিধায়ক ও ৩ জন সাংসদ, নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
মুকুলে দলে যোগ দেওয়ার দিন  এনিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, মুকুলের সঙ্গে যাঁরা গেছিল, তাদের ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে... যারা গদ্দারি করেছে, তাদের নেব না।
তৃণমূলে ফিরে মুকুল বলেছিলেন,  বাংলায় যা পরিস্থিতিতে তাতে বিজেপিকে কেউ থাকবে না।