সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  একদিকে যখন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ চলছে, তখন এরাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে। 


রাজ্যের মধ্যে দু’টি জেলার ছবি রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। 


দৈনিক আক্রান্ত হোক বা মৃত্যু। রাজ্যে কলকাতার পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা!


ষষ্ঠ দফায় বৃহস্পতিবার চার জেলার ৪৩টি আসনে ভোট। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসন রয়েছে। 


আর এই উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 


স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যাটা থাকছে ২ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যাও ঘোরাফেরা করছে দশের আশপাশে। 


কিন্তু, এই জেলায় করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো কতটা প্রস্তুত? জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বারাসাতের কদম্বগাছি জিএনআরসি হাসপাতালে ১১০টি কোভিড বেড ছিল। এখন সেটা কমে হয়েছে ১০টি। 


বারাসাত মেগা সিটি নার্সিংহোমে ৫০টি কোভিড বেড ছিল। এখন এখানে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না। 


তেঘড়িয়া চার্নক হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা ছিল ১০। এখানে বন্ধ রয়েছে করোনা চিকিৎসা। 


এছাড়াও গত বছর ব্যারাকপুরের টেকনো গ্লোবাল হাসপাতালে কোভিড বেড ছিল ১৩০-১৪০টি। এখন সেই বেড সংখ্যা কমে হয়েছে ৮৪। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে মাত্র ১০টি বেড। 


এর পাশাপাশি বেডের সমস্যা রয়েছে সরকারি হাসপাতালেও। গত বছর করোনার সময় তড়িঘড়ি গোবরডাঙা হাসপাতাল চালু করে সরকার। 


এই হাসপাতালে ৫০টি কোভিড বেড ছিল। এখন সেটা কমে ২০তে এসে ঠেকেছে। 


এছাড়া নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও খড়দা বলরাম সেবা মন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে ফের কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। 


এই দুটি হাসপাতালে বেড রয়েছে যথাক্রমে ৯০ ও ৫০। 


এই প্রেক্ষাপটে বারাসাত স্টেডিয়ামে বন্ধ হয়ে যাওয়া সেফ হোম, ফের চালু করতে চলেছে পুরসভা। ৩০ বেডের সেফ হোম ছিল, মাস দুয়েক আগে বন্ধ হয়ে যায়, উদ্যোগ নিচ্ছে পুরসভা।


পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ২ মাস আগে কেউ আসছিল না, তাই বন্ধ, অনেকদিন চালু ছিল, আবার প্রকোপ বাড়ছে।