নয়াদিল্লি : দেশ থেকে বঙ্গ, কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। এর মাঝে এখনও পশ্চিমবঙ্গে বাকি আরও দু-দফার নির্বাচন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ও কোভিডবিধি মেনে বাকি দু-দফায় তাই রাজ্যে এসে কোনও ব়্যালি বা জনসভা না করার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে তাঁর কোনও সভাই বাতিল হচ্ছে না। সমস্ত জনসভা তিনি সারবেন ভার্চুয়ালি। কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত বৈঠকও তিনি ভার্চুয়ালিই সারবেন বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি করোনা বিধি মেনে পরবর্তী বৈঠকগুলি করা হবে বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে কয়েকদিন আগে সব রোড শো, র্যালিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা থেকে বহাল হয়েছে এই নির্দেশিকা। বাইক, সাইকেল র্যালিতেও কমিশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে সভা করা যাবে। আগে দেওয়া সমস্ত র্যালির অনুমতিও বাতিল করে কমিশন। যদিও এরপরেও একাধিক মিটিং-মিছিলের ছবি সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে জমায়েতের বহু ছবি, যা উদ্বেগ বাড়িছে সাধারণের।
ভোটমুখী বঙ্গে করোনার চোখরাঙানি দেখে প্রথমে বড় জনসভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। এরপর একে একে তৃণমূল, বিজেপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলি সভায় কাটছাটের সিদ্ধান্ত নেয়। ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মাথায় রেখে কিছুদিন আগেই সমস্ত নির্বাচনী সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান কেবল ভার্চুয়াল সভাই করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভার্চুয়ালি সভা করা শুরু করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঊর্ধ্বমুখী চেহারার কথা মাথায় রেখে প্রথমে শুক্রবার প্রচার কর্মসূচি বাতিলের কথা ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কমিশনের কড়া বিধি মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। শনিবারেরও শাহের সমস্ত কর্মসূচিও বাতিল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শেষ দু-দফা ভোটে রাজ্যে আর প্রচারে আসছেন না অমিত শাহ। বীরভূমের রামপুরহাট, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং কলকাতার মানিকতলায় সভা ছিল অমিতের।
এদিকে, মালদার বৈষ্ণবনগরে মিঠুনের সভায় উপচে পড়া ভিড়ের ছবি সামনে আসে। কমিশনের নির্দেশিকার পরেও সভায় উপচে পড়া ভিড়ে সুরক্ষাবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দূরত্ববিধি না মানার অভিযোগে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।