বালুরঘাট, সুদীপ চক্রবর্তী :  এক মারুতি গাড়ি থেকে তিন দুষ্কৃতী সহ দুটি বোমা উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইটাহারে। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে । ইটাহার থানার সুরুনের দুই অঞ্চলের গোটবাড়ি মোর এলাকার ঘটনা। আর এই বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর।


 


সোমবার রাতে গোটবাড়ি এলাকায়  তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আসলাম আলির নজরে আসে গাড়িটি। তিনি ও এলাকার বাসিন্দারা গাড়িটিকে আটক করেন।   চালক মোর্তুজ আলি পালিয়ে গেলেও কাজল শেখ ও আব্দুল হানিফ নামের দুই 'দুষ্কৃতী'কে ধরে ফেলেন এলাকায় বাসিন্দারা। তারা দেখেন গাড়িতে দুটি হাত বোমা রয়েছে।সেই বোমা উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। 


 


রাত বিরেতে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অভিযুক্তদের মারধর করে  ও তাদের ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে বলে জানা গিয়েছে।  তৃণমূল কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা আসলাম  বলেন,  '' বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এর আগেও ইটাহারে তৃণমূলের কর্মীদের বাড়িতে বোমা মারে, তাই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই । ''


 


যদিও তৃণমূলের আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন  ইটাহারের বিজেপি প্রার্থী  অমিত কুমার কুণ্ডু। তিনি বলেন , '' এটি একটি পরিকল্পিত নাটক। ঘটনাটি যদি রাত দেড়টা নাগাদ ঘটে থাকে, তাহলে আসলাম আলি ও তাঁর অনুগামীরা এত রাতে কী করছিল ওখানে? আসলাম আলির তো ওখানে থাকার কথা নয়, ওঁর বাড়ি তো রায়গঞ্জে।  তৃণমূলের লোকেরা নিজেরাই ঘটনাটি ঘটিয়ে তিন জনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিল। বিজেপি কখনও বোমা নিয়ে রাজনীতি করে না, বিজেপির অনেক ভোট বেড়ে যাওয়ায় কারণে  এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।'' 


 


খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার পুলিশ । মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ  মারুতি গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর এলাকা এখনও থমথমে। ঘটনার নেপথ্যে কে , তাই নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে চলছে চাপানউতোর।