ভাঙড়: ভাঙড়ের কাশীপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর। তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুরের ভুমরু গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল নির্বাচনী সভা সেরে ফেরার পথে, তাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি, তৃণমূল কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই ঘটনাস্থলে যান ভাঙড়ের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ রেজাউল করিম। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। যদিও আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, সভা থেকে ফেরার পথে, তাদের কর্মীদেরই কটূক্তি করে তৃণমূল কর্মীরা। এরপর পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আইএসএফ কর্মীদের মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা চলছে।


ভোটের আবহ শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার ভাঙড় উত্তপ্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফের সংঘর্ষে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একাধিক জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল যে সংঘর্ষের রেশ। সপ্তাহখানেক আগেই বারুইপুরে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল এক তৃণমূলকর্মীর। আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সংযুক্ত মোর্চার ৭ কর্মী।তৃণমূলের দাবি, তাদের কর্মীদের ওপর লাঠি-রড নিয়ে চড়াও হয় আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ ও সিপিএম কর্মীরা। মারধরের জেরে আহত হন ৫ তৃণমূল কর্মী। এরমধ্যে রুহুল আমিন মিদ্যার আঘাত গুরুতর থাকায়, তাঁকে কলকাতায় মেডিকা হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার পরই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। 


তার কিছুদিন আগেই মিনাখাঁ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত হাড়োয়ায় আইএসএফ কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ৩০-৪০ জন দুষ্কৃতী মিলে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৫-২০ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে আহত অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘটনার প্রতিবাদে হাড়োয়া থানায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছিল আইএসএফ। তৃণমূলের তরফে যদিও অভিযোগ ছিল, আইএসএফ কর্মীরা তাঁদের মারধর করেছে। বরং আহত হয়েছেন ১৫ জন তৃণমূল কর্মী।


অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বহর চলছেই, সঙ্গে রাজ্যে বেড়েই চলেছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা।